জীবনে বেশ কিছু বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখেন অনেকে। কিছু ক্ষেত্রে তা ইচ্ছাকৃত। কিছু আবার অস্বস্তি এড়াতে নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য গোপন করে যান নারীরা। এমনকি স্বামীর কাছেও মুখ ফুটে বলতে পারেন না সে কথা। বিয়ের পরও কমবেশি সব নারীই এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
নিজের পছন্দ করা মানুষের সঙ্গে বিয়ে হোক কিংবা পারিবারিক ভাবে বিয়ে হোক, বিয়ের পর অন্য পরিবেশ ও চারপাশের মানুষগুলো হঠাৎ বদলে যাওয়ায় সাধারণত নারীরা দিন কয়েক গুটিয়েই থাকেন। এই সময়ে বেশ কিছু বিষয় গোপন করে যাওয়ার প্রবৃত্তি তৈরি হয় তাদের মনে।
কোন কোন কথা অধিকাংশ নারীরা বিয়ের পর সে ভাবে বলে উঠতে পারেন না, জানেন?
>>> অনেক মেয়েই অতীতের সম্পর্কের কথা স্বামীর কাছে গোপন করে যান। তাদের মনে হয় সঙ্গীর কাছে সবটা বললে তার মনে সন্দেহ বাসা বাঁধতে পারে। তাই পুরনো প্রেম নিয়ে সব কথা মন খুলে বলার মতো সাহস বা সুযোগ মেয়েরা সব সময়ে পান না।
>>> নতুন বিয়ের পর অনেক মেয়েকেই শ্বশুরবাড়িতে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। কোনো আত্মীয়ের ব্যবহার বা কথায় আঘাত পেতে পারেন। প্রথম দিকে স্বামীর কাছ থেকে সেই সব কথা গোপন করেন বহু মেয়ে।
>>> শারীরিক নানা সমস্যা অনেকেরই থাকে। বিয়ের পর তা নিয়েও খুব একটা সহজ হতে পারেন না অনেক মেয়ে। বরং এ নিয়ে তারা অস্বস্তিতে ভোগেন। মেয়েদের এই স্বভাবের কারণেই অনেক সময়ে জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও তা দেরিতে ধরা পড়ে।
>>> বাপের বাড়ির কোনো গুরুতর সমস্যা বা আর্থিক টানাপড়েনের খবর কানে এলেও মেয়েরা সে বিষয়ে শ্বশুড়বাড়ির লোকেদের জানাতে দ্বিধাবোধ করে।
>>> যৌনজীবনের ক্ষেত্রেও নিজের পছন্দ-অপছন্দ, চাহিদা বা সমস্যার কথা অনেক মেয়েই বলে উঠতে পারেন না সঙ্গীর কাছে। সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা নিজের চাহিদা খুলে বলতে পারলেও বেশির ভাগ নারী তা পেরে ওঠেন না।